বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সনেট
পরি ও বিকিনি
সঙ্কট কালেই যত বিপর্যয় ঘটে যেত রোজ
নিরাপত্তা বলয়ের সন্নিকটে আপৎকালীন
চতুর্দশপদাবলি থেকে আমি যেহেতু দালির
ডায়েরিতে মজে আছি, মধ্যরাতে বিষণ্ণ সরোদ
কে বাজায়, কেন বাজে স্বভাবত খেয়াল করিনি
অথচ দেখেছি ছাতে রক্তাক্ত ঘুঙুর পড়ে আছে
পিডোফিল পুরুষেরা, জানি, থাকে আনাচে কানাচে
কেউ নাকি দেখেছিল, নৃত্যরত পরি বা হরিণী
নিশ্চিত প্রমাণ নেই, অথচ এ দালানবাড়িতে
হরিণ একদা ছিল, এমনকি ডানাখসা পরি
এ বাড়ির ছেলেটিকে একদিন চেনাল শরীর
সেই ছেলে, পরি নয়, ব্যস্ত হল গালা ও দালিতে
ঘুঙুর কে পরেছিল, সেই পরি? পরণে বিকিনি!
পরির পায়ের দিকে চোখ তুলে দুবার দেখিনি..
স্বগতোক্তি, প্রণয় দিবসে
ওষ্ঠহীন ঠোঁট থেকে ঝরে পড়ে নিঃশব্দ কুয়াশা
চুল গাঢ় অন্ধকার, মুখ তার অতীতে ফেরানো
অসংখ্য প্রেমিক যার, দেবতা ও মেধাবী দানব
কী যেন সে বলেছিল, মনে নেই অর্কিডের ভাষা
একদা আদর করে খুলেছিল সাধের বৈঠাটি
ঘূর্ণিজল স্রোতস্বিনী ভেসে যায় কলঙ্কের টিপ
একটি অলঙ্ঘ যাত্রা, আমি এক সামান্য নাবিক
নিছক মাংসের লোভে পাড়ি দিই সূদূর নৈহাটি
পাড়ি মানে নিরুদ্দেশ, খাড়ি মানে এসে গেছি, নামো
প্রণয়দিবস জুড়ে হাহাকার, সরস্বতী ঘুড়ি
যে আকাশে একদিন, আজো যেন মনে মনে উড়ি
তুমি যেন রাজহংসী, আমি রূপকানা ও বামন
মেঘের আড়াল থেকে কণ্ঠ বলে, ভালবেসে সখী
লিখে রাখি অনুতাপ, সামান্যের শেষ সলিলকি
Comments