Print This Publication

ঋপণ চন্দের কবিতা


যে শরীর ফেলে এসেছি পাইনের বনে

তাহাকে বিভূতি পরিয়ে দিও

মেঘে পাওয়া হৃদি তার

ছুঁয়ে দিও অনামিকা জলে

তাকে ফিরতে দিও এদিক সেদিক

বিরহের ঘোরে, আদিম তরলে


প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখ' মনে


যে শরীর ফেলে এসেছি তার

পাইনের বনে


ভোর ক্রমে ফিকে আলতাপ্রভ হয়

দু'একটা কাজলটান

এসে লাগে মিশে থাকা

আমাদের গায়ে

কয়েকটা জ্যোৎস্না উড়ে যায়

আরও গভীরতার দিকে

আমাদের চেতনাচেতনও যায়

উড়ে উড়ে তাহাদের পিছে

কদিন ভাবেতে আছি

ফিরে আসা ইস্তক


আশা রাখি দু'একটি হারানো স্তবক


ফুলডিঙা ক'রে

সুবাস পাঠাই

আলতাগ্রামে তোমার


কবে যে রাষ্ট্র

বিমোচিত হবে

বিয়োজিত হবে


আমাদের চিঠিগুলি

পাবে ঠিকানা সমীচীন 


আমরা কত কথা

কবে থেকে

কেন যে বলিনা


আমি বাধ্য নই

বলতে তোমায়


তোমার বিজনে আমি

আমার বিজনে তুমি


পায়চারি করি চল

আলোছায়া ঘোরে


মেয়েটি ঝোরা হয়ে গিয়ে

নিজেরই জলে করে স্নান

নাম না জানা পাহাড়ি ফুলের

হয়ে আমি সুঘ্রাণ 

ভরে উঠি তার বুকে


ফিরে পাই


যে টান গিয়েছিল চুকে


প্রেমে না পড়লে মানুষ

এত সুন্দর গাইতে পারেনা 


প্রেমে একবার পড়লে মানুষ

বেরোতে পারেনা

সেই শূন্যময়তা থেকে


আমরণ গেয়ে যায়


প্রেমের বন্ধন ছেঁড়া 

মুক্তিপথের গান


গহন কুসুম ছুঁয়ে আসি

মরহুম আগুনে

সেঁকে নিই হাত


ওভারকোটের পকেটে

রয়েছে ঝোরা থেকে

কুড়িয়ে আনা নুড়ি


অযথা হাতুড়ি

পিটিয়ে কি হবে

লোহা না হলে লাল


মসনদ হবেই হালাল


নাও ছড়াও সেঁজুতি 


চামড়ার হাতমোজা

খুলে রাখ


খাদের কিনারে


কুহরে খুম দিয়ে আসি

ছায়া ছায়া গুম্ফায়

আলো পাওয়া লামা

তোমার কথা জানতে চায়

চিঠি না লিখতে পারা

ডুবি কাব্যের সংকেতময়তায়

দু'টো আয়না হেঁটে যায়

পাখিদের কাছে

দানাপানি দেবে

পালিপাথরের ঘোরে

আমাদের খেলনাবাটি হয়


ঝম নেমেছে দূরের ক'রে

আলতো আলোকরেখা

মেঘের সাথে খুনসুটি তার

মেঘের কাছেই শেখা

উড়তে বইতে ঝরতে আর 

ঢুকে আসতে ঘরে

সুরের রূপে চুপেচুপে

মধ্যরাতের পরে

মেঘেই পাওয়া কুড়িয়ে পালক

মেঘেই পাওয়া ঝিল

বসলে পাড়ে দেখতে থাকা

দু'জনায় কি মিল

মেঘের মত জুমের গায়ে

বুলিয়ে শুশ্রূষা 

সে তার গান গুনগুনায়

সন্ধ্যা কিবা ঊষা 


সিয়ারির প্রিয় তুমি

তাই তুমি সুন্দর

ঝোরাদের পারে তুমি

তিনসন্ধ্যার ডর


তোমায় দেখেছি পুরোভাগে

মিছিলের কানায় কানায়

যেটুকু যা চলকায়

কবুতর হয়ে যায়


ক্যাম্পেও দেখেছি তোমায়

গা ঢাকা দেয়ার রাতে

ছায়াদের হাতে হাতে

ইস্তেহার বিলাতে


সিয়ারির প্রিয় তুমি

তাই তুমি সুন্দর

ঝোরাদের পারে তুমি

তিনসন্ধ্যার ডর


তোমায় পেয়েছি অঘ্রাণে

ধানক্ষেতে নিরিবিলি

আলেন্দের চিলি

চুমো খাই ভাতের সুঘ্রাণে


সেদিনের আশ্বাস নিয়ে

গুনে গুনে

আলপথ ধ'রে ফিরি

দু'জনে দু'জনার ধুনে


সিয়ারির প্রিয় তুমি

তাই তুমি সুন্দর

ঝোরাদের পারে তুমি

তিনসন্ধ্যার ডর
















Comments

Shrestha said…
বহুবার পড়ি এসব, এত ভালো লাগা আছে...

Popular Posts