জেরী চন্দের কবিতা
অবিচল
উপত্যকায় আমি দাঁড়িয়ে আছি অজ্ঞ নীরব চারা গাছ;
সম্মুখে সমাহিত ধান ক্ষেত ধূসর রাস্তা নিয়ত ইট ভাটা,
পথের মাস্ক পরিহিত বাদুর দৃষ্টি আমার চলার অভিমুখে লাল রং ঢেলে দ্যায়
আমি কিছুই আড়াল করতে পারিনা এই দূষণ পিপাসু ধুলার কাছে
ক্লোরোফিল সূর্যালোকের দিবসপ্রণালীতে তোমার ডাক নেই
ঝলকায় তোমার প্রিয় বইয়ের পাতা
শেষ দেখা নদীর প্রতিধ্বনি
চিরন্তন যাতায়াত
নিকটতম মনের বিহ্বলতা যেনো ছিন্নভিন্ন করছে এই বৃষ্টি
অন্ধকার ঘরে হেঁটে চলেছো সংগীত প্রতিফলন-নিরুত্তর!
শিশুদের হাসি আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে,
মহামারীর সময়ে অভ্র নীলের ছায়ায়
আমি সনাক্ত করেছি এই মৃত্যুপরিকল্পনা বহুভাগে
দিনে সূর্যালোক,রাতে নিদ্রাহীনতা আমাকে দুবার পোড়ায়
ধর্মহীন অভিনয়ে
আমি তো তোমার মতো জীবন মৃত্যুর পৌত্তলিক অমুখতায় অনুপ্রবেশ করিনা
জল দিয়ে চোখ মুখ ধুয়ে এই
বক্রতা আমি স্বীকার করি
দ্যাখো আজ এই অন্ধকার রাস্তা যেসব ভোরে গিয়েছো হেঁটে
পারলেই বিরাট দুর্দশার কথা এক ঢিলে ফেলে যেতে পারতে-
ভোরের সুক্ষ আলোয়-
তোমার
এই কূট প্রত্যাখ্যান বিচলিত করেছে মহীয়ান-
অনিয়ন্ত্রিত সীমানা
এখানে কেটেছে দিনরাত আঠারো বছর
অথবা এখানে আর থাকা হয় না এখন!
এই ঘরে মহামারী প্রবেশ করেছে আগেও কত-
বিল পাশ হয়েছে নামাজের মতো
কেউ খবর রাখে নি
এবারে কারা য্যানো তুলে রেখেছে চারা গাছ ইট আর নিরিবিলি চিৎকার,
আমিও এসেছি ঘুরে ফিরে আবার, অতিথি কিংবা শরণার্থী...
Comments